স্বদেশ ডেস্ক ॥ তাঁর দাবিমতো পয়সা দিতে না পারলে অকারণেই ফেল করতে হত নৈনিতালের উধাম সিং নগর জেলার কমার্স কলেজের ছাত্রীদের। সেই সঙ্গে সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চলত যৌন নির্যাতনও। ভেবেছিলেন কোনওদিনই তাঁর বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস পাবেন না পড়–য়ারা। একেই গরীব। তার উপর মেয়ে। আর যখন তিনি নিজেই বিভাগীয় প্রধান। দিন দিন অত্যাচার সহ্য করার পর অবশেষে মুখ খুললেন এই কলেজের স্নাতকোত্তর স্তরের ২৭ পড়–য়া।
বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা এবং মানসিক অত্যাচারের অভিযোগ তুলে তাঁরা চিঠি দিয়েছেন উচ্চশিক্ষা আধিকারিককে। সেখানেই তাঁরা জানিয়েছেন কীভাবে দিনের পর দিন তাঁদের উপর অত্যাচার চালানো হত। বলা হতো এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেই বন্ধ হয়ে যাবে পড়াশুনো। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণে অকারণেই হেনস্থা করা হত। পাস করতে চাইলে চেয়ে বসতেন বিপুল অঙ্কের টাকা। গরীব পড়–য়াদের পক্ষে কোনওভাবেই তা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এছাড়াও অভিযোগকারিনীরা জানিয়েছেন, প্রায়শই তিনি মত্ত অবস্থায় ক্লাস নিতে আসতেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর উচ্চশিক্ষা আধিকারিক যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন অধ্যাপকের সঙ্গে। অভিযুক্ত অবশ্য জানিয়েছেন, এসব তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত। পড়–য়াদের জন্য তিনি অনেক ভালো কাজ করেন। সেসব আটকাতেই অন্য অধ্যাপকেরা তাঁর বিরুদ্ধে ছাত্রীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। এছাড়াও কলেজের বেশ কিছু রাজনৈতিক গ্রুপের নিশানায় রয়েছেন তিনি। তাই জোর করেই এমন অভিযোগ আনা হয়েছে।
যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আধিকারিক। তিনি জানিয়েছেন এক সপ্তাহের মধ্যেই রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। যৌনহেনস্থা, মত্ত অবস্থায় ক্লাসে ঢোকা ইত্যাদি অভিযোগ সত্যি বলে প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।